এই পৃথিবীর সমস্ত কিছু কোনো না কোনো শক্তি দ্বারা পরিচালিত
হচ্ছে যেমন শব্দ , বায়ু, তাপ কিংবা জলপ্রবাহ
বা বিদ্যুৎ | এই সমস্ত শক্তি গুলো আমাদের বেঁচে থাকার জন্য আমাদের স্থূল দেহের
হিসাব অনুসারে আমরা ব্যবহার করি বা অন্যান্য জীব জগৎ তাদের প্রয়োজন হিসাবে |এই শক্তি
গুলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কম্পন এর সমন্বয় ছাড়া
তো কিছুই নয়, যেমন শব্দ একটা নির্দিষ্ট কম্পন এর মাত্রায় থাকলে আমাদের কর্ণগোচর হয়
আবার অন্য প্রাণী সেই কম্পন এর মাত্রার থেকে
বেশি কম্পন এর শব্দও সোনার ক্ষমতা রাখে| এখানেই একটি প্রশ্ন মনে এসে যাই আমাদের কর্ণ
হগোচর আর দৃষ্টিগোচর নয় এরম কি দ্বিতীয় কোনো দুনিয়া এই পৃথিবীতেই আছে? যাদের কম্পন এর মাত্রা আমাদের অনুভূতি ক্ষমতার বাইরে
? অনেক চতুস্পদ প্রাণী রাত্রি বেলাতেও দেখতে
পাই কারণ তাদের দৃষ্টি ইন্দ্রিয় সেই নির্দিষ্ট কম্পন অনুভব রাখার ক্ষমতা রাখে|
এটার
মানে এটাই আমাদের এই স্থূল জগতের এই অন্তরাল এ আমাদের জন্য একটা সুক্ষ জগৎ আছে যেটা
আমাদের অনুভূতি (শব্দ, স্পর্শ, দৃষ্টি , গন্ধ, চিন্তা , মন, বুদ্ধি) এর বাইরে |
এই
জগৎ টাকে কি অনুভব করা যাই?
হ্যাঁ
যাই বই কি | তাই তো ভক্তি যোগ জ্ঞান এসব এর পথ দেখিয়েছেন বিভিন্ন সময়ের সদ্-গুরু, পরমহংস
আর ধর্ম গুরু রা | শঙ্কর থেকে বুদ্ধদেব বা বুদ্ধ দেব থেকে চৈতন্য সবাই এক একটি পথ দিয়ে
সেই সুক্ষ জগৎ যেটাকে ভগবান এর জগৎ বা ভগবান এর প্রকীর্ত সত্ত্বা বলা যেতে পারে যেটা
গুনাটির, নিরাকার, সদ্-চিদানন্দ , পরম শান্তি দায়ক, দ্বন্দ্বাতীত এমন একটি স্থান বা
সত্ত্বা |
দ্বৈত
গুন্ এনিয়ে ব্রহ্মা এক অংশে শক্তিমান আর শক্তি বা
পুরুষ এবং প্রকৃতি |
এই
প্রকৃতি যিনি নানান শক্তির তরঙ্গ আর বাকি ত্রিবিনস তত্ব দিয়ে জগৎ লীলা সাধন করছেন
|
এই
লীলাসাধনের খেলায় তিনি কিছু নিয়ম (রুলস) তৈরী রেখেছেন যেটা দিয়ে এই জগৎ এর সমস্ত কিছু
সুষ্ঠ ভাবে পালন হয়| সেই নিয়ম এ পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘুরছে , আমরা সবাই পৃথিবীর
তার আকর্ষণী ক্ষমতায় তার বুকে টেনে রেখেছে বাকি ব্রহ্মান্ডের সমস্ত গ্রহ নক্ষত্র সমস্ত
কিছুই একটি নির্দিষ্ট নিয়ম এ বাঁধা আছে যেটা
এই পরম প্রকিরিটির তৈরী নিয়ম যেটা বিগ্গাইনিক ভাষাহাই স্থূল ভাবে সচিএন্টিফিক ফরমুলা বা বৈজ্ঞানিক সূত্র বলে আমরা জানি | E=mc ^২ থেকে
শুরু করে F=Gm1xm2xr^2 বা নিউটন এর force সূত্র
গুলি F=ma সমস্ত কিছুই সেই মহাপ্রকীর্তির তৈরী
রুল গুলির বৈজ্ঞানিক রূপ যেগুলো সব থেকে উন্নত
জীব মানুষ তার চিন্তা শক্তি দ্বারা সূত্র নির্ণয় করতে পেরেছে |
১.
THermodyanaics এন্ড ব্রহ্ম: Energy সৃষ্টি
করাও যাই না ধ্বংস করাও যাই না |শুধু একটি এনার্জি অন্য এনার্জি তে রূপান্তরিত হতে
পারে মাত্র |সমস্ত এনার্জি এর সমষ্টি একটি ধ্রুবক আর এটা পরিবর্তন হয় না| ঠিক সেভাবে
ব্রহ্ম এক জন আর টাকে মাপার ক্ষমতা আমাদের মতো ক্ষুদ্র মানুষের নেই এবং এই ব্রহ্ম বা
তার পুরুষ & প্রকৃতি না সৃষ্টি হয়েছে কখনো না তো ধ্বংস হবে শুধু এক রূপ থেকে অন্য
রূপে রূপান্তরিত হয়ে তিনি এই জগৎ লীলা সাধন করছেন |ঠিক তেমনি তার এই ছোট ছোট রূপ এ
আমরা জীবাত্মারাও কিন্তু কখনো জন্ম নিয়নি না কখনো মৃর্ত্যু হবে আমাদের | যাই হোক সৃষ্টির
ধ্বংস কালে প্রকিরিটি এই এনার্জি কংসেরভে করে রেখে নেন বা সমস্ত সৃষিটর বীজ একটি জায়গায়
সংগ্রহ করে রেখে নেন আর পরের সৃষ্টি তে সেই বীজ বা সংরক্ষিত শক্তি ( conserved এনার্জি) দিয়ে নতুন করে আবার বিশ্ব সংসার পাতেন
|
যাই
হোক ওনার সেই লীলাতত্ব এই ক্ষুদ্র বৈজ্ঞানিক
ভাষায় বা সূত্র দিয়ে এর বেশি বিশ্লেষণ করা
সম্ভব নয় | ...(To be continued)